মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ পূর্বাহ্ন
কালের খবর ডেস্ক :
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারের ওপর বৈশ্বিক জোরালো চাপ অব্যাহত রাখতে যুক্তরাজ্যসহ সব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ব্রিটেনের বৈদেশিক দপ্তর এবং কমনওয়েলথ কার্যালয়ের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড এমপি গতকাল রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর তেজগাঁও কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
রোহিঙ্গাদের মাঝে বিশেষ করে রোহিঙ্গা তরুণদের মাঝে কাজকর্ম না থাকা এবং তাদের ফিরে যাওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় হতাশা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটা ওই এলাকায় একটি বিরাট সমস্যার সৃষ্টি করেছে, কেননা সংখ্যায় তারা স্থানীয় জনসাধারণকে ছাড়িয়ে গেছে। কাজেই স্বার্থান্বেষী মহল তাদের মধ্যে বিদ্যমান হতাশাকে খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহার করতে পারে। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বর্ষাকালে রোহিঙ্গাদের অবস্থা আরো খারাপ হতে পারে। অবশ্য সরকার তাদের অস্থায়ী আবাসনের জন্য একটি দ্বীপকে উন্নত করে গড়ে তুলছে। ’
সফররত যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী এত বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট বোঝা আখ্যায়িত করে তাদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সরকারের কাছে জানতে চান।
এ দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। এ সময় যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিপুল বিজয় অর্জনের জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
শেখ হাসিনা দুই দেশের পারস্পরিক লাভের স্বার্থেই বাংলাদেশে আরো ব্রিটিশ বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন। তিনি এ সময় ব্রিটিশ উদ্যোক্তাদের আরো বেশি বেশি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। মার্ক ফিল্ড বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশেষ করে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নে ব্রিটেনের অংশীদারির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁর সরকারের দেশে বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার বিষয়টি অবহিত করে বেসরকারি মালিকানাধীন বেশ কিছু টিভি চ্যানেল অনুমোদন প্রদানের কথাও জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণমাধ্যম এখন সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে। ’
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ঐতিহাসিকভাবেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে তাঁদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
বৈঠকে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নে ব্রিটেনের আরো সহযোগিতা প্রদানেরও আশ্বাস দেন। বৈঠকে উভয়ে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্ক আরো জোরদার করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার চ্যাটারটন ডিকসন এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস।
দেশের চামড়া খাতের উন্নয়নে ইতালির সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী এদিকে দেশের চামড়া খাতের উন্নয়নে ইতালির সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা চামড়া খাতে আপনাদের সহযোগিতা চাই, যেহেতু আপনাদের চামড়াজাত পণ্য গুণে ও মানে সেরা। ’
ঢাকায় ইতালির নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াতা গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর তেজগাঁও কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
ঠৈকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশকে নিজেই পছন্দ করে এসেছেন উল্লেখ করে ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াতা বলেন, তিনি দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নে এবং অর্থনৈতিক সহযেগিতা সম্প্রসারণে কাজ করবেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে ব্যাবসায়িক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করে বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশ দুটির মধ্যে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।